শীতে একজিমা থেকে মুক্তি পেতে যা ব্যবহার করবেন

আমাদের প্রতিদিন
2024-03-29 02:24:33

 

ঢাকা অফিস:

একজিমার মতো ত্বকের অসুখে আক্রান্ত হয় বহু মানুষ। পরিবেশগত কারণ ছাড়াও যারা মানসিক চাপে বেশি থাকেন, তাদেরও একজিমা হয়। 

শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে গিয়ে চর্মরোগটির অবস্থা আরো শোচনীয় হতে পারে, কারণ এসময় বাতাসের আর্দ্রতা অন্য মৌসুমের তুলনায় কম থাকে। তবে দুশ্চিন্তা করবেন না, এমনকিছু উপাদান আছে যা ব্যবহার করলে একজিমা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখানে শীতকালে একজিমার তীব্রতা এড়াতে ব্যবহার করা উচিত এমন আটটি উপাদান সম্পর্কে বলা হলো।

* অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা জেলে ব্যাকটেরিয়া-রোধক, প্রশান্তিদায়ক ও পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা রয়েছে। এটি প্রদাহজনিত যন্ত্রণা কমায় ও নিরাময় প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এই গুণের কারণে ত্বক বিশেষজ্ঞরা একজিমা উপশমে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

* নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকে কড়া প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যাকটেরিয়া দমন করে থাকে। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়িয়ে প্রদাহও কমায়। একজিমা থেকে মুক্তি পেতে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

* আপেল সিডার ভিনেগার: আপেল সাইডার ভিনেগার ত্বকে অ্যাসিডিটির মাত্রা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একজিমার উপসর্গ উপশম করতে পারে। 

* নিয়াচিনামাইড: একজিমা নিয়ন্ত্রণে নিয়াচিনামাইড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। এটি হলো ভিটামিন বি৩ এর একটি ফর্ম। এটিতে ত্বককে আর্দ্র রাখার ক্ষমতা রয়েছে।

* সিরামাইডস: ত্বককে সুস্থ রাখতে ও একজিমার অবনতি এড়াতে সিরামাইডস সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, একজিমা রোগীদের সিরামাইডসের ঘাটতি থাকে। তারা ময়েশ্চারাইজার ও সিরামাইডস ব্যবহার করলে ত্বকের উপরের স্তর সুস্থ হতে পারে। 

* ইউরিয়া: ইউরিয়াতে আর্দ্রতার ক্ষমতা আছে, তাই ময়েশ্চারাইজার ফর্মুলাতে এটি ব্যবহার করা হয়। একজিমা নিয়ন্ত্রণে ইউরিয়া সমৃদ্ধ প্রসাধনী বেশ কার্যকর।

* ব্লিচ: একজিমার স্থানে স্টাফ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। সংক্রমিত একজিমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই ঝুঁকি কমাতে সপ্তাহে দুই-তিন বার ব্লিচ বাথ নিতে পারেন। খুব বেশি ব্লিচ ব্যবহার করবেন না, অন্যথায় ত্বকের শুষ্কতা আরো বেড়ে যাবে। ব্লিচ বাথের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।