বউ নিয়ে দুই স্বামীর মারামারি, ১৮ জনকে আসামি করে মামলা

আমাদের প্রতিদিন
2024-04-23 19:34:47

 

ঢাকা অফিস:

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। প্রথম স্বামী রমেন বিশ্বাসের ভাই বিপ্লব বিশ্বাস বাদী হয়ে পূর্বমোড়া গ্রামের রবিন বিশ্বাসকে (৩২) প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বোয়ালমারী থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর ১১। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।  এরআগে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে বাদীর দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রতন মন্ডল পেঁয়াজ বিক্রি করে বসতবাড়ি সংলগ্ন দোকানের সামনে পৌঁছালে আসামি নিতাইসহ অন্যরা তার গতিরোধ করেন। এ সময় তার চিৎকারে রমেন বিশ্বাস, বিপ্লব বিশ্বাসসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে গতিরোধের বিষয়টি জানতে চাইলে তাদের ওপর হামলা করেন। হামলার সময় রতন বিশ্বাসের কাছে থাকা পেঁয়াজ বিক্রির ৮৭ হাজার টাকা, রমেন বিশ্বাসের গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের সোনার হার নিয়ে যান।

এ বিষয়ে রুপাপাত ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাফর ফকির বলেন, তিন মাস আগে নিতাই বিশ্বাস প্রতিবেশী মালয়েশিয়া প্রবাসী রমেন মন্ডলের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। পরে ওই ঘটনায় মারামারি হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডহরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পূর্বমোড়া গ্রামে বউ নিয়ে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বোয়ালমারী উপজেলার পূর্বমুড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রমেন বিশ্বাস। প্রবাসে থাকার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের রবিন বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাসের (৩২) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনমাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।

২০ দিন পর অক্টোবরে তাদের ফিরিয়ে এনে এক সালিশ বৈঠক বসে এলাকায়। ওই সালিশে রমেন বিশ্বাসের স্ত্রী দ্বিতীয় স্বামী নিতাইয়ের সঙ্গে সংসারের সিদ্ধান্ত নেন।

সম্প্রতি রমেন বিশ্বাস দেশে ফিরে এলে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। পরে এ নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনায় রতন বিশ্বাস ও তার ছেলে রমেন বিশ্বাস (৪৫), বিপ্লব বিশ্বাস (৩৪), পৌর বিশ্বাস (৩৩) আহত হন।

আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুরে রেফার করা হয়। পরে ফরিদপুর থেকে চারজনের মধ্যে রমেন মন্ডলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।