৬ বৈশাখ, ১৪৩১ - ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ - 19 April, 2024
amader protidin

২০২৩ সালেই মন্দায় পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি : বিশ্বব্যাংক

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
207


ঢাকা অফিস:

চলতি ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এ কারণে চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর প্রবণতা, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকা ও বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর নড়বড়ে অবস্থানের কারণে দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাংক নতুন করে পূর্বাভাস দিল।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নয়নবান্ধব ব্যাংকটি ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে আশা করছে। এটি ২০০৯ ও ২০২০ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময়টুকু বাদ দিলে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধির হার। এর আগে ২০২২ সালের জুনে প্রকাশিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা প্রতিবেদনে ব্যাংকটি প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছিল।

বিশ্বব্যাংক জানায়, মন্দা উদীয়মান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বড় আকারের প্রভাব ফেলবে। তারা ঋণের বোঝা মোকাবিলা করতে সমস্যায় পড়বে। দুর্বল মুদ্রা, আয়ের প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে থাকায় পরবর্তী দুই বছরে এই দেশগুলোয় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়েছে, যা গত দুই দশকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২২ সালের শেষের দিকে এসে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ খানিকটা কমে এসেছে, তবে সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, সরবরাহ খাতে নতুন করে বিঘ্ন দেখা দেওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি এবং সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির ধারা অটুট থাকতে পারে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতিক্রিয়া হিসেবে পলিসি রেট বর্তমান প্রত্যাশিত হারের চেয়ে বেশি হারে বাড়াতে পারে। এসব উদ্যোগের পরিণাম হিসেবে বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

নিম্ন আয়ের দেশগুলোর খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী এবং ঋণ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেদনে ভর্তুকিমূল্যে অর্থায়ন ও অনুদান দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে বেসরকারি মূলধন ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, মানবসম্পদ তৈরি ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করার গুরুত্ব উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নতুন করে খরচ বৃদ্ধি করেছে। ফলে দরিদ্র দেশগুলোর দারিদ্র্য হ্রাসের হার স্থবির হয়ে গেছে।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়