৬ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২০ এপ্রিল, ২০২৪ - 20 April, 2024
amader protidin

‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলনের আশা

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
688


দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের খানসামায় প্রতি বছরের মতো কৃষকরা ‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত রসুনের আবাদ করছেন। বিগত বছরগুলোতে রসুনের ভালো ফলন এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। এদিকে সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা কমে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণ করা হয়েছে।

উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুনচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম না থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও ওই এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এ ছাড়া এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রুত বেড়ে চলেছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো।

রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি না করে একটু অপেক্ষা করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় আমাদের প্রতিদিনকে জানান, বর্তমানে খানসামায় কৃষকদের কাছে রসুন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়া সত্তেও গত বছর দাম না পাওয়ায় এ বছর এই ফসলের চাষ অনেকাংশ কমেছে। তারপরও রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়