৬ বৈশাখ, ১৪৩১ - ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ - 19 April, 2024
amader protidin

‘রহিমা বেগম অপহরণ নাটকের মাস্টারমাইন্ড মরিয়ম মান্নান’

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
269


ঢাকা অফিস:

অপহরণ নয় বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে রহিমা বেগম অপহরণ নাটক সাজানো হয়েছিলো। দেশব্যাপী আলোচিত খুলনার রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মহানগর হাকিম আদালতে দাখিল করা হয়েছে।  পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান সংস্থাটির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

এর আগে, গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে লাপাত্তা মা রহিমা বেগমকে মৃত হিসেবে দাবি করেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তার আবেগতাড়িত বক্তব্য ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।রহিমা বেগম কথিত নিখোঁজের পর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পোস্টারিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মাকে ফিরে পেতে মরিয়ম মান্নানের আহাজারি ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে।

পরবর্তীতে মরিয়ম মান্নান ২২ আগস্ট ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা পুলিশ তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পরদিন ফুলপুর থানায় গিয়ে নিহত নারীর পোশাক ও অন্যান্য আলামত দেখে মরিয়ম মরদেহটি তার মায়ের বলে ‘শনাক্ত’ করে। তখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ তার ডিএনএ সংগ্রহ করে। এর পরপরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।২৪ সেপ্টেম্বর খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। কয়েক বছর আগে কুদ্দুস খুলনায় রহিমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, রহিমা বেগম ২৭ আগস্ট রাতে তার তৃতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদারের সহযোগিতায় বাসে করে ঢাকায় চলে যান। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় তার মেয়ে মরিয়মের কাছেই ছিলেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর বান্দরবান সদরে চলে যান। ওই দিন থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানে তিনি রিজিয়া বেগম নামে এক নারীর বাড়িতে ছিলেন। ১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই এলাকার মনি বেগমের ভাতের হোটেলে কাজ নেন এবং তার বাড়িতেই ছিলেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়