মিঠাপুকুরে টিসিবি পণ্যে ভোগান্তি ব্যাপক, কারসাজির অভিযোগ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:
মিঠাপুকুরে ইমাদপুর ইউনিয়নের মাটেরহাট এলাকায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাজেদ এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে। রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২২ তারিখ বুধবার ১৬২৪ টি কার্ডধারি সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন সুবিধাভোগী।
কার্ডধারী হাফিজার রহমান (কার্ড নং ১৭৮৬) বলেন,আমি গত বছরের মার্চ এ পেয়েছি পরে শুনি আমার কার্ডটা কে যেন নকল করেছে তখন থেকে আর পাই না।
দক্ষিণ রহমতপুর এলাকার সেলিম মন্ডল বলেন,(কার্ড নং ১২৬)আমার কার্ড ডিলার আটকে রাখায় টিসিবির মাল তুলতে পারি নি তবে গতকাল পেয়েছি। একই এলাকার মতিয়ার বলেন, (কার্ড নং ১৩৩) আমার কার্ড ডিলার আটকে রাখায় গত ৪ মাস তুলতে পারি নি গতকাল উদ্ধার করে মাল তুলতে পেরেছি।
রহমতপুর এলাকার মোছাঃ অলিমন বলেন(কার্ড নং ১৮৯৭), শুরু থেকেই ডিলার আমার কার্ড আটকে রাখায় আমি মাত্র ৩ বার তুলতে পেরেছি। ইমাদপুর ইউনিয়নের সাহাবুল( কার্ড নং ২৫৮২),আছমা বেগম( কার্ড নং ১৮৯১),সাজু ব্যাপারি (কার্ড নং ১৩২),খবির উদ্দিন(কার্ড নং ২৫৩৪) ছাড়াও আরো অনেকে ডিলারের বিরুদ্ধে কার্ড আটকে রেখে পন্য কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ তুলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফ্যামিলি কার্ড থাকা সত্ত্বেও টিসিবির পণ্য পায়নি অনেক ভোক্তা সাধারণ। মাজেদ ইন্টার প্রাইজের সামনে ২৩ মার্চ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের। পণ্য না পেয়ে ডিলারের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে কার্ড হাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পণ্যবঞ্চিত কার্ডধারীরা।
অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করে পণ্য বিক্রি করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সার্বক্ষনিক দেখা যায়নি। ফলে ডিলার ইচ্ছে মতো তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
১৭ নং ইমাদপুর ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্য গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক বরাদ্দেই ডিলার নয়ছয় করছেন। গরিব কার্ডধারীদের পণ্যসামগ্রী না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
মাজেদ ইন্টার প্রাইজের কর্ণধার মোঃ আরিফ কার্ড কারসাজীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যে কয়েক জন সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সিরিয়াল নাম্বার জানালে, আমার কাছে থাকা কার্ড খুঁজে দেখবো।
আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম ও কারসাজি হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।