১২ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ - 25 April, 2024
amader protidin

রংপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
261


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই আসামি স্বামী মো. আইনুল ওরফে আয়ান ও সতিন মোছা. হাসিনা বেগমকে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা মহানগরীর মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার সাতমাথা বীরভদ্র বালাটারি গ্রামের বাসিন্দা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।

র‌্যাব জানায়, গত ১৯ মে বিকালে রংপুর মহানগরীর  মাহিগঞ্জ  বীরভদ্র বালাটারী গ্রামের স্বামী মোঃ আইনুল হক ওরফে আয়ান (৪২) এর হাতে নিজ স্ত্রী জোসনা বেগম (৪০) খুন হয়। আইনুল হক ১ম বিয়ের কথা গোপন রেখে জোসনা বেগম (৪০)কে বিয়ে করে। বিয়ের পর জোসনা বেগম  জানতে পারে তার স্বামী  অগের বিয়ে তার কাছে গোপন করেছে। এনিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। গত ১৮ মে কিস্তি ও বাজার খরচের টাকা চাইলে মোঃ আইনুল হক তার প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪১)সহ ২য় স্ত্রী  জোসনা বেগম (৪০)কে গাছের ডাল দিয়ে বেধরক মারধর করে এবং তাকে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো তাকে ঘরের ভিতর আটকে রাখে তার পাষন্ড স্বামী। পরদিন আবার নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জোসনা বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মুখের ভিতর পানির পাইপ ঢুকিয়ে পানির পাম্প চালু করে দিয়ে নিশ্চিত করে কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা এসে জোসনা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় দেখে মাহিগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ  তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে গত ২০ মে মাহিগঞ্জ থানায় ১টি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর পরই আসামীরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদস্যরা বুধবার রাতে  নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার গোপালদী গাজীপুরা এলাকা হতে হত্যা মামলার আসামি স্বামী মোঃ আইনুল হক ও প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি স্বীকার করে যে, জোসনা বেগমকে মারপিট এবং মুখে পানির পাইপ দিয়ে পাম্প চালুর মাধ্যমে হত্যা করেছে। পরে গ্রেফতারকৃতদের মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়