গঙ্গাচড়ায় ব্রীজের ধ্বসে যাওয়া সংযোগ সড়ক মেরামতে  নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
2024-10-16 09:24:08

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘাঘট নদের উপর নির্মিত ব্রীজের ধ্বসে যাওয়া সংযোগ সড়ক মেরামতে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বর্ষার বৃষ্টির পানিতে সড়কটি যে কোন সময় ধ্বসে যাওয়ার শংঙ্কা এলাকাবাসীর। এতে করে কমপক্ষে ৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হবে। সেই সাথে কৃষি পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে  ভোগান্তির শিকার হতে হবে।

জানা যায়, উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের কাদেরের ঘাট এলাকায় ঘাঘট নদের উপর চলতি বছর ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে করে নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা, সাপমারী, সাঙ্গের বাজার ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের মানুষেরা সহজে যাতায়াতসহ কৃষি পণ্য পরিবহন করতে পারছে। এই ব্রীজ দিয়েই নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা দাখিল মাদ্রাসায় নিয়মিত যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাদেরের ঘাট এলাকায় ঘাঘট নদের উপর নির্মিত ব্রীজের সংযোগ সড়কের ব্লকগুলো সরে গিয়ে রাস্তা ধসে গেছে। সেই সাথে সংযোগ সড়কে দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত পিলারগুলোও ধসে নিচে পড়ে গেছে। ফলে সড়কটি সংকুচিত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক, পিকআপ, রিক্সা, অটোরিক্সা চলাচল করে ওই সেতু দিয়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না ও উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সড়ক মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত দু’দিন আগে সংযোগ সড়কের দু’ধারে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে যানবাহন চলাচলের উপযোগি করা হয়। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কটি আবারও ধ্বসে যাওয়ার শংঙ্কা এলাকাবাসীর।

পথচারী আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সংযোগ সড়ক ধ্বসে গিয়েছিল। এতে করে এই রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারতো না। শুধু সাইকেল আর মটরসাইকেল যাতায়াত করতো। তড়িঘড়ি করে যে কাজটি হয়েছে তা লোক দেখানো কাজ। টেকসই কাজ না হওয়ায় চলতি বর্ষায় সংযোগ সড়কের মাটি ধ্বসে ব্রীজের ক্ষতি হতে পারে।

এলাকাবাসী আল আমিন মিয়া বলেন, আগে নৌকা দিয়ে আমরা পাড়াপাড় হতাম। আমাদের কষ্ট দেখে এখানে একটি ব্রীজ করা হয়েছে। কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক সঠিকভাবে তৈরী করা হয়নি। ফলে এক বছর না পেরুতেই সংযোগ সড়ক ধ্বসে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে পূণরায় এটি ধ্বসে মানুষের চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়বে।

আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রশিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদারের কিছু বিল বকেয়া ছিল। তাই ঠিকাদারের মাধ্যমে রাস্তায় কিছু বালুর বস্তা ও মাটি ফেলা হয়েছে। এখন ব্রীজ দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। তবে এটি টেকসই কাজ হয়নি। বৃষ্টি হলে আবারও ধ্বসে যেতে পারে। এছাড়া রাস্তাও নতুন তো, মাটি বসতে সময় লাগবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌলশী মজিদুল ইসলাম বলেন, ধ্বসে যাওয়া সংযোগ সড়কটি মেরামত করা হয়েছে। এখন আর কোন ভয় নেই।  সেই ব্রীজ দিয়ে যানচলাচল করতে পারছে।