রংপুরে দূর্গাপূজার নিরাপত্বায় পুলিশ-আনসারসহ ১০ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট

আমাদের প্রতিদিন
2025-04-29 11:00:20

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। জেলা ও মহানগর মিলে ৮৩৫টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে। পূজায় আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যের আইন সহায়তার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালন করবেন ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট। সঙ্গে ১০ প্লাটুন সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই মন্ডপে-মন্ডপে দেব দেবী ভক্তরা আসতে শুরু করেন। ভক্তদেও বাসনা পৃথিবী থেকে সব অশুভ বিনাশ করে শান্তির বার্তা দিবেন দুর্গতিনাশিনী সেই প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গতিনাশিনী মর্তলোকে দোলনায় আগমণের পর হাতির পিঠে চড়ে রোববার দশমীর বিজয় যাত্রার মাধ্যমে কৈলাসে স্বামীর সংসারে ফিরে যাবেন দশ ভুজা দেবী দুর্গা।

রংপুরের পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবার ৮৩৫টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৫২টি পূজা মন্ডপে জেলার ৮ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৬৮৩টি পূজা মন্ডপ হয়েছে।এর মধ্যে কোতয়ালী থানাধীন ৬৮টি, গঙ্গাচড়ায় ৯৫টি, তারাগঞ্জে ৪৭টি, বদরগঞ্জে ১২৩টি, মিঠাপুকুরে ১০৬টি, পীরগঞ্জে ১০৫টি, পীরগাছায় ৭৩টি ও কাউনিয়ায় ৬৬টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ করতে সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পূজা মন্ডপের আশপাশে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য এবং স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ।জেলার ৮ থানায় ৮ প্লাটুন এবং নগরীতে ২ প্লাটুন সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।সে সঙ্গে যেসব পূজা মন্ডপ ঝুকিপূর্ণ সেই সব পূজা মন্ডপে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে ।

জেলায় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যের আইন সহায়তার জন্য রংপুরে ম্যাজিস্ট্রেন্সি দায়িত্ব পালন করবে ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট। ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও মহানগরের পূজার যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২১০ নম্বর কক্ষে সহকারী কমিশনার গোলাম সাকিব খানের সার্বিক দায়িত্বে রোস্টার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪ জন কর্মচারী।

রংপুর মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় বলেন,রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব ধর্মালম্বীদেও সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।