আমাদের ডেস্কঃ
রিসেট বাটন নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি তৈরিতে একটি মহলের চেষ্টা দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ফায়দা লুটতে, মানুষের ভাবনাকে ভিন্ন দিকে নেয়ার পুরনো ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, রিসেট বাটন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে আপত্তিকর এক স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচিত হন বরখাস্ত হওয়া ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সেই স্ট্যাটাসে, প্রধান উপদেষ্টার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ঊর্মি। বিশ্লেষকদের মতে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও এমন কথা বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর সঙ্গে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র যুক্ত থাকতে পারে।
এ ব্যপারে বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, উনার (তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি) কিছু সার্ভিস রুলস আছে। উনি এটা করতে পারেন না। পরকিল্পিতভাবে রিসেট শব্দটার মানে এখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রিসেট বাটন কি- প্রযুক্তি যন্ত্রের রিসেট বাটন, ব্যক্তি জীবন কিংবা সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী ধারণা। যা ইঙ্গিত দেয় একটি নতুন শুরুর। এতে কোনো জাতির ইতিহাস মুছে ফেলার বিষয় থাকে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তথ্যপ্রযুক্তির নানান ডিভাইসে ত্রুটি সারাতে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে রিসেট বাটন ব্যবহার করা হয়। প্রতীকী অর্থে ব্যক্তি জীবন, রাজনীতি, অর্থনীতিতেও এই বাটনের কথা বলেন অনেকে। যা একটি নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করে।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, রিসেট বাটনে ক্লিক বলতে, একটি নতুন সূচনাকে বোঝাতে চেয়েছেন ডক্টর ইউনূস। এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ নয়, বরং আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি আর অপশাসনের ব্যাপারেই ইঙ্গিত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে দুর্নীতি আছে, স্বৈরাচার আছে সবাই জানি। গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটেই রিসেট বাটনে চাপার কথা বলা হয়েছে।
রিসেট বাটন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির পেছনে একটি মহলের তৎপরতা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। এটি কাটাতে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা দেখতে চান তাঁরা।