রংপুরের তামপাটে ছাগল ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট: আহত ৩

আমাদের প্রতিদিন
2024-12-12 12:21:28

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুর মহানগরীর তালুক তামপাট দোলাপাড়া এলাকায় ছাগল ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বাঁধা দিতে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল খালেকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে আহতরা গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও যেকোন মুর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীরা জানান। ভুক্তভোগী নাহিদ হাসান এঘটনায় বাদি হয়ে তাজহাট মেট্রোপলিটন থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ্য করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। আসামী ও তাদের লোকজনের হুমকি-ধামকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী আব্দুল খালেকের পরিবার।

এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রংপুর মহানগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের  তালুক তামপাট দোলাপাড়া এলাকার আব্দুল খালেক (৫৫)  ও তার ছেলে নাহিদ হাসান (২৮) তাদের নিজস্ব জমিতে ফসল ফলাইয়া জীবন যাপন করে আসিতেছে দীর্ঘদিন ধরে। গতকাল শনিবার তাদের ফসলি জমিতে স্থানীয় মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মধু মিয়া ছাগল দিয়ে রোপনকৃত ধানগাছ খাওয়াতে থাকেন। এর আগেও একই কার্যকালপ করেন। এতে বাঁধা দেয়ার কারণে মধু মিয়ার নেতৃত্বে দুখু মিয়া, মিঠু মিয়া, নাজমুল হোসেন মজমুল ও মামুন মিয়াসহ একদল দাঙ্গাবাজ দেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুল খালেকের ওপর হামলা করেন। এলোপাতারিভাবে বাশের লাঠি সোঠা ও লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে।  বাদির  মা  তার স্বামীকে বাচানোর চেষ্টা করিলে আসামী তাকেও এলোপাতারিভাবে বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত করিয়া ছিলা ফোলা জখম করে এবং পড়নের পড়নের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে বাড়িঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান ৩৫,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও আলমারির ভিতর হইতে নগদ ৭৬,০০০/- টাকা বাহির করিয়া নেয় এবং ওয়্যারড্রপের ড্রয়ারে থাকা স্বর্নালংকার অনুমান ০২ ভরি, মূল্য অনুমান ২,৪০,০০০/- টাকা বাহির করিয়া নেয়। আমার বাবার নাক ও মুখ দিয়ে অঝড়ে রক্ত পড়তে থাকে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসার পর আসামীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যান, যে উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিলে তাহারা আমাদেরকে খুন জখম করিবে, এলাকায় শান্তিতে বসবাস করিতে দিবে না ইত্যাদি বলিয়া হুমকি প্রদান করে। অতঃপর সাক্ষীগন রক্তাক্ত গুরুতর জখম প্রাপ্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা অটোযোগে রংপুর মেডিকেল করেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে আমার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭নং ওয়ার্ডের পুরুষ বিভাগের এক্সট্রা সবেড়ে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। ভুক্তভোগী নাহিদ হাসান এঘটনায় বাদি হয়ে তাজহাট মেট্রোপলিটন থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আসামী ও তাদের লোকজনের হুমকি-ধামকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী আব্দুল খালেকের পরিবার। তারা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

এব্যাপারে তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার ওসি...... সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল খালেকের ছেলে বাদি হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।