ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মরহুম শামছুল পাগলার স্মৃতিচরণে সাতদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ডিঙি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার শেষ বিকালে উপজেলার পশ্চিম ফুলমতি খাড়াপাড়া এলাকায় বারোমাসিয়া নদীতে নৌকা বাইচের ফাইনাল খেলা দেখতে নদীর দুই তীরে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ঢলে মুখরিত হয়ে উঠে।
ডিঙি নৌকার ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম -২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মো: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান মজি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসাসহ উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, সাবেক ছাত্র দলের সভা মাহফুজার রহমান মাসুমসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আমির হোসেন মুন্সি ও দুলাল মিয়া এবং তরুন যুব সমাজসহ স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে মরহুম শামছুল পাগলার স্মৃতিচরণে সাতদিন ব্যাপী ডিঙি নৌকা বাইচের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ সেপ্টেম্বর।
আয়োজকরা জানিয়েছেন ষষ্ঠ দিনের মতো শুক্রবার বিকাল ডিঙি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিঙি নৌকা বাইচের প্রথম পুরুস্কার পেয়েছে বোয়াইলবাড়ী এলাকার একতা সৈনিক, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে খাড়াপাড়া এলাকার খাজাবাবা নিজামুদ্দিন আওলিয়া ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আনন্দ বাজার এলাকার দাদানাতি, চতুর্থ পুরুস্কার পেয়েছে ওবদা বাজার এলাকার আলোকিত ওবদা বাজার।
খেলা শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বিজয়ী বাইচালদের হাতে প্রথম পুরস্কার খাঁসি ছাগল, দ্বিতীয় পুরুস্কার মাঝারি ছাগল, তৃতীয় পুরস্কার বাটন মোবাইল ফোন ও চতুর্থ পুরুস্কার হিসাবে দেয়াল ঘড়ি দেন।
আয়োজক কমিটির সদস্য আমির হোসেন মুন্সি ও দুলাল মিয়া জানান, মরহুম শামছুল পাগলার ১১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতি চরণে সাত ব্যাপী ডিঙি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। আমাদের নিজ উদ্যোগে এ খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় মাত্র ৪০০ টায় টাই নির্ধারণ করা হলে স্থানীয়সহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা ১২ ডিঙি নৌকা অংশ গ্রহন করে।
এই প্রথম এলাকায় ডিঙি নৌকা বাইচ হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু -কিশোরসহ লোকজন অত্যান্ত আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতাটি উপভোগ করছেন। আল্লাহ রহমত সামনে বড় নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।