মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের বাতিগুলো শুক্রবার দিনের বেলাতেও জ্বলছে। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বন্ধ করার কেউ নেই। প্রধান ফটতে তালা লাগিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাতিগুলো জ্বালানো হয়েছিল। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাতিগুলো বন্ধ করতে কেউ আসেনি। ২৪ ঘন্টা ধরে একাধারে জ্বলছে সেগুলো। এরফলে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। অথচ বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে দেশে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে এমন বিদ্যুতের অপচয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অনেকে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদে।
আপরদিকে, ইউপি চেয়াম্যানের অনুপস্থিত থাকার কারণে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তার দপ্তরের ব্যস্থতার কারণে সপ্তাহে ১ দিন পরিষদে আসেন তিনি।
শুক্রবার বিকেল ৫ টায় চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো পরিষদ ভবণে দিনের বেলাতেও বাতি জ্বলছে। প্রধান ফটকে ঝুঁলছে বড় একটি তালা। বারান্দায় পড়ে রয়েছে একটি পত্রিকা। সারাদিন তালা খুলে কেউ বাতিগুলো বন্ধ ও পত্রিকাটি তুলে রাখেনি।
পরিষদের আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার কেউ পরিষদে আসেনি। একারণে বাতিগুলো বন্ধ হয়নি। মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় রেজাউল করীম বলেন, দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি। অথচ, সরকারী দপ্তরে এভাবে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসি বলেন, সপ্তাহে একদিন প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। আমাদের কাজ থাকলে মিঠাপুকুরে তার অফিসে যেতে হয়, না হলে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এতে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুল বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। এখনি সচিবকে বলে সমাধানের ব্যবস্থা করছি। বিষয়টির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে, সপ্তাহে একদিন পরিষদে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, জরুরী কাজ থাকলে, পরিষদ হতে যোগাযোগ করা হয়। আমি সমাধানের ব্যবস্থা করি। মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।