মিঠাপুকুরে যুবককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে মোক্তারুল ইসলাম ভোদল (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় হত্যাকারীরা মোক্তারুলের ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেয়ে বলে জানা গেছে। এটি ছিনতাইয়ের জন্য হত্যা না অন্য কোন কারণ আছে তা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বলদীপুকুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোক্তারুল ইসলাম ভোদল উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুর গ্রামের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জায়গীর বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্য মটরসাইকেল যোগে বের হন মোক্তারুল। পরে পরিবারের লোকজন একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং শেষে তার ব্যবহৃত নাম্বার খোলা থাকার পরেও ফোন রিসিভ না করায় মিঠাপুকুর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। নিখোঁজ জিডি করে বাড়ি ফেরার সময় দেখতে পায় বলদিপুকুর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় রাস্তার পাশে মোক্তারুল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তাকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। মুঠোফোন দুটি তার লাশের পাশে সচল অবস্থায় রয়েছে। পরে মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা মোক্তারুলের মহদেহ উদ্ধার করে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ভোদল এলাকার একজন চিহ্নিত সুদ কারবারি। তার সুদের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে বহু মানুষ। অনেকের দাবি,সুদের টাকা নিয়ে কোনো ঝামেলা থেকে হয়তোবা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি অনেকের ধারণা, তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহ এখানে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, মধ্যরাতে মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং হত্যার কারন সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে। এদিকে মিঠাপুকুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় একের পর এক নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।