যতদিন যেভাবে চাই সেভাবেই ফুটবল পায়ে ছুটতে পারব.....মেসি
ফাইল ফটো
আমাদের ডেস্কঃ
আর্জেন্টিনার হয়ে দেশের মাটিতে খেলতে কেমন লাগে, সে অনুভূতি লিওনেল মেসি ফিরে পেলেন প্রায় ১১ মাস পর। গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলেছিলেন, এরপর মাঝে কোপা আমেরিকার আগে-পরে কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পাওয়া মেসি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সেপ্টেম্বরের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। এবারের রাউন্ডে আবার তাঁর সুযোগ হলো আর্জেন্টিনার মাঠে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নামার।
কাতার বিশ্বকাপে সোনালি ট্রফিটার পাশাপাশি আর্জেন্টাইনদের হৃদয়েও চিরস্থায়ী ট্যাটু এঁকে ফেলা মেসির কাছে গত বছর দুয়েকে সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্তই হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার হয়ে আর্জেন্টাইনদের সামনে খেলতে নামা। মেসির নামে জয়ধ্বনি, গান, গ্যালারিভর্তি ‘মেসি’ জার্সি এক ফুটবলারের চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কী হতে পারে! মেসিও যে এই লোভেই বারবার আটকে যান!
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ মেসির রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিকেই রিভেরপ্লেতের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের বাকি তিন গোলের দুটি আবার মেসিই করিয়েছেন! এমন পারফরম্যান্সের পর মেসির নামে জয়ধ্বনির আওয়াজ তো ডেসিবেলে শ্রবণসীমার মাত্রা ছাপিয়ে যাওয়ারই কথা। ম্যাচ শেষে মেসির সরল স্বীকারোক্তি এল, এই ভালোবাসার টানেই মেসির আর্জেন্টিনায় ফিরে আসার ইচ্ছা এই ৩৭ বছর বয়সে এসেও আরও বাড়ে তাঁর।
মেসি ইদানিং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া মানেই যেন অবধারিতভাবে চলে আসে তাঁর অবসরের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার কোচ, দলে তাঁর সতীর্থ এবং দলটার ভক্তরা আশায়, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন। কিন্তু মেসি এ ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে রাজি নন। আজও ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো তারিখ বা সমাপ্তিরেখা ঠিক করে রাখিনি। আমি শুধু এই সবকিছু উপভোগ করতে চাই।’
বয়স তাঁকে ক্যারিয়ারের সমাপ্তিরেখার কাছে টেনে নিয়ে গেলেও আর্জেন্টাইনদের এই ভালোবাসাই মেসিকে বয়সটা টের পেতে দেয় না। মেসি তা-ই বললেন, ‘আমার এমন বয়স সত্ত্বেও, যখন এখানে আসি নিজেকে যেন একটা শিশুর মতো মনে হয়। কারণ এই দলটার সঙ্গে সবকিছুতেই আমি খুব সহজভাবে মিশে যাই। যতদিন পর্যন্ত শরীরের দিক থেকে ভালো লাগবে, যতদিন যেভাবে চাই সেভাবেই ফুটবল পায়ে ছুটতে পারব, ততদিন এভাবে উপভোগ করে যেতে চাই।’
এরপরই তাঁর কণ্ঠে থাকল আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসার লোভে বাঁধা পড়ার অনুভূতির কথা, সঙ্গে একটা বিষাদ ছড়িয়ে দেওয়া অনুভূতিও, ‘এখানে আসতে, মানুষের স্নেহ-ভালোবাসা পেতে সত্যিই ভালো লাগে। তাঁরা যখন আমার নাম ধরে উল্লাস করেন, খুব ভালো লাগে। আমাদের মানুষের এই ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছাটাই এখানে আসার তাড়ণা আরও বাড়িয়ে দেয়। কারণ আমি জানি এই ম্যাচগুলোই হয়ে থাকতে পারে আমার শেষ কিছু ম্যাচ।’