কাজ সংকটে শ্রম বিক্রির হাটের শ্রমিকরা
নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
ভোরের আলো ফুটলেই শ্রম বিক্রি করতে আসা মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিদিন সরগরম আর ব্যস্ত হয়ে ওঠে রংপুর মহানগরীর শিমুল বাগ এলাকা। প্রতিদিন ভোর থেকে বাইসাইকেল যোগে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূর থেকে এখানে আসা বেশিরভাগ শ্রমিক রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া, কোলকোন্দ, গজঘন্টা, ও বড়বিল ইউনিয়নের বাসিন্দা। শ্রমিকরা তাদের শ্রম বিক্রি করার জন্য সেখানে কোদাল ও টুকরি নিয়ে হাজির হয়। তবে আগের মত আর কাজ মিলছে না বলে জানান শ্রম বিক্রি করতে আসা একাধিক শ্রমিক।শ্রম বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আজ (২৫ অক্টোবর) শুক্রবার সকালে শিমুলবাগে শ্রম বিক্রির হাটে কথা হয় গঙ্গাচড়া উপজেলার ধামুর গ্রামের জিতেন চন্দ্র রায়ের ( ৪৫) সাথে তিনি জানান
এখানে প্রতিদিন শ্রম বিক্রির হাট বসে। এ হাট থেকে শ্রমিকদের চুক্তিতে কৃষি, রাজমিস্ত্রি এবং গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজের জন্য নেওয়া হয়। তবে আশ্বিন মাসের শুরু থেকে কাজ কমে গেছে। এখন সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন কাজ পাই। কাজ কমে যাওয়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। একই এলাকার দীপক চন্দ্র রায় (৪৫), সিরাজুল হক (৫৫) বলেন, আশ্বিন-কার্তিক মাসে ক্ষেত খামারে তেমন কোন কাজ থাকেনা। তাই কৃষি কাজে শ্রমিক লাগেনা।
এছাড়া এই সময়টাতে বাড়ি নির্মাণের কাজও কম হয়। তাই রাজমিস্ত্রির কাজও সংকট। তাছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কাজ সংকটে আছি।
শুধু জিতেন, দীপক, সিরাজুল নয়, তাদের মতো শত শ্রমিক জড়ো হন এ ‘শ্রম কেনা বেচার হাটে। নির্দিষ্ট দামে বিক্রি হন তারা। কাজ পেলে তাদের মুখে হাসি ফুটে, না পেলে মলিন মুখে অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তি দিনের জন্য।
তবে সচেতন মহল জানান এ অঞ্চলে শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠলে শ্রমিকদের আর কাজ সংকটে ভুগতে হবে না।