প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৪৬০ জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগ
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ
সাখাওয়াত হোসেন, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৬০ জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ইউপি চেয়ারম্যান একে এইচ এম সাইদুর রহমান। এছাড়াও এ ঘটনায় রৌমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত রৌমারী উপজেলাধীন ৬নং চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এইচ এম সাইদুর রহমানের জন্মনিবন্ধন আইডির মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৬০ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে প্রদান করেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হক। এসব জন্মনিবন্ধন সনদগুলো প্রায় ৯৭ শতাংশ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের মানুষের নামে। এসব সনদধারীদের ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও এলাকার জনগণ শনাক্ত করতে পারেননি।
মিনারুল ১৮ আগস্ট চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে যোগদান করেন। ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের দিন শুধু উপস্থিত থেকে বাকি দিনগুলো অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ফলে সাধারণ জনগণ জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৬০ জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিনারুল হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পাশাপাশি রৌমারী থানায় এ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মো. মিনারুল হক অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, উধ্বর্তন কর্মকর্তা তদন্ত করে এ ঘটনায় প্রমাণ পেলে যা শাস্তি দিবে তা মেনে নিবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জন্মনিবন্ধন সনাক্ত করে দেন মেম্বার চেয়ারম্যানরা। তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হবে। তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম জানান, জন্মনিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।