দিনাজপুরে দিনভর দেখা মিলেনি সূর্য্যরে
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত কয়েকদিন থেকে হঠাৎ ক্ষনিকের জন্য দেখা মিললেও আজ (১১ ডিসেম্বর) বুধবার দিনভর দেখা মিলেনি সূর্য্যরে। বুধবার দিনভর মেঘলা আকাশ ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। এছাড়াও দিন ও রাতের তাপমাত্রার তফাৎ কমে আসায় অনুভুত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। এর আগের দিন মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে দিনের তাপমাত্রা কমছে। গত কয়েকদিন আগেও এই দিনের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছিলো। কিন্তু ক্রমান্বয়ে দিনের তাপমাত্রা কমে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে এসেছে। বুধবার দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন ও রাতের রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় দিনভর অনুভুত হচ্ছে তীব্র শীত। বিশেষকরে বুধবার বিকেল থেকে হিমেল বাতাসের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় অনুভুত হয় হাড় কাঁপানো কনকনে শীত। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষ।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশা ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ক্ষনিকের জন্য মাঝে মাঝে হঠাৎ দেখা যায় সূর্য্যরে। কিন্তু আজ বুধবার দিনভর দেখা যায়নি সূর্য্যরে মুখ। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারনে সারাদিন এক প্রকার অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলো গোটা জেলা। ফলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় ছিন্নমুল মানুষ ও শ্রমজীবি মানুষের। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে পড়েন চরম বিপাকে।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামে আলু ক্ষেতে কাজ করছিলো কৃষি শ্রমিক তুষার চন্দ্র রায়। তীব্র শীতে গোটা শরীরে কাপড় মুড়িয়ে কাজ করছিলেন তিনি। কাছে গিয়েই জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, জারে (শীত) হাত-পা কোকড়া হই আইসেছে। আলু বাড়ীত কাম করিতে হাত থোপসা হই যাছে। কি করিমো-তারপরও কাম করিবা হচে। কাম না করিলে হামার পেটের ভাত জুটিবে কেমন করি? একই রকম কথা জানান আলু ক্ষেতে তার সাথে কাজ করা অন্যান্য কৃষি শ্রমিকরা।