পীরগঞ্জে আগে মা পরে মেয়ের লাশ উদ্ধার, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের পীরগঞ্জ থানা পুলিশ এক মহিলার মাথা বিহীন লাশ ও মাথা উদ্ধারের পর নিহত মহিলার শিশু কন্যা সাইমা (৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে। রোববার সকালে বদনাপাড়ায় মাটির নীচ থেকে এ লাশ উদ্ধার হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের সীম ক্ষেত থেকে পুলিশ এক অজ্ঞাত মহিলার মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম নিশ্চিত হয় উক্ত মহিলা নীলফামারী জেলার জলডাকা উপজেলার পশ্চিম গোল মুন্ডা ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত্য রবিউল ইসলামের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম (৩১)। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সেদিনই মাথাটি উদ্ধারের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালালেও মস্তকটি উদ্ধার করতে পারেনি। পরে সিআইডি রংপুর ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ টিম ও পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অনুসন্ধানের গত শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী (তারা মন্ডল) এর ছেলে আতিকুর (৪০) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আতিকুর হত্যার দায় স্বীকার করলে শনিবার পুলিশ তাকে নিয়ে করতোয়া নদীর টোংরারদহ থেকে মস্তকটি উদ্ধার করে।
এদিকে গ্রেফতার আতিকুর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালিন উক্ত মহিলার কন্যা সন্তান সাইমাকেও হত্যার দ্বায় স্বীকার করলে পুলিশ রোববার আতিকুরকে নিয়ে বড় বদনা পাড়ায় গিয়ে তার বাড়ীর পশ্চিম পার্শে মাটির নীচ থেকে সাইমার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
অপর দিকে শিশু কন্যা সাইমার লাশ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঘাতক আতিকুরের বাড়ী ঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ ফারুক গনমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং আমরা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে নিখুঁত ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। পরে পুর্ণাঙ্গ বিষয়টি জানানো হবে।