রংপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষন মামলার আসামী রুহুল আমিনের আগাম জামিন না মঞ্জুর

ফাঁসি ও আসামীর পক্ষে আইনজীবির সনদ বাতিলের দাবিতে আদালতে বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন নিতে এসে কারাবন্দি হয়েছেন রংপুরের মিঠাপুকুরের চাঞ্ছল্যকর চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষন মামলার আসামী রুহুল আমীন। এদিকে রুহুল আমীনের ফাঁসি ও তার পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেয়া আইনজীবির সনদ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ) দুপুরে তিনি রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত (মিঠাপুকুর) আদালতে আত্মসমপর্ন করে আগাম জামিন প্রার্থনা করেন আইনজবি ফিরোজ কবির নিলয়। আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রংপুর আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারী ভোরে মিঠাপুকুরের রতিয়া গ্রামে রুহুল আমিনের বাগানে ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করেন পিতা। ওই মামলায় আত্ম সমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে রুহুল আমীনের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেয়া ফিরোজ কবির নিলয় আইনজীবির বার কাউন্সিলের সনদ বাতিল এবং রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র জনতা। পরে সেখানে উপস্থিত হন বার সমিতির সভাপতি সায়েদ কামাল ইবনে খতিব। তিনি বিক্ষোভকারীদের বলেন, একজন আইনজীবি যেকোন আসামীর পক্ষে লড়তে পারে। আপনারা সনদ বাতিল চাওয়ার কে। এনিয়ে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীরা তার বক্তব্যের বিরোধীতা করেন। বিক্ষোভকারীরা সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি। ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে যারা মামলা লড়ছেন। তারা ধর্ষণকে উৎসাহিত করছেন। আমার অধিকার রক্ষার দাবি করা আমার সাংবিধানিক অধিকার।
অন্যদিকে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে তার মা। দাবি করেছেন ফাঁসির। কারাগারে উপস্থিত নির্যাতনের শিকার মা জানান, আমি রুহুল আমীনেরে ফাঁসি চাই। আমার শিশু বাচ্চার জীবন ধ্বংস করেছে সে। আমার সামনে তাকে ফাঁসি দিতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা ও মহানগর সংগঠক শেখ রেজওয়ান জানান, আইনজীবি ফিরোজ কবির নিলয় ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে আদালতে লড়ছে। আমরা তার সনদ বাতিল চাই। একই সাথে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে রুহুল আমিনের ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
রংপুর আইনজীবি সমিতির সভাপতি সায়েদ কামাল ইবনে খতিব জানান, যে কেউ বাদি বিবাদীর পক্ষে লড়তে পারে। এক্ষেত্রে তার সনদ বাতিল চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এই জঘন্য কান্ডের সুবিচার নিশ্চিত হোক। এটা আমরা চাই।