৯ বৈশাখ, ১৪৩২ - ২২ এপ্রিল, ২০২৫ - 22 April, 2025

মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা

1 week ago
328


বৈরী আবাহওয়ায় বীরগঞ্জে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

আবহাওয়ার বৈরী আচরণে দুর্ভোগে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষীর্থী ও অভিভাবকগণ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পুর্ব মুহুর্তে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হয়েছে অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বিশেষ করে কেন্দ্র হতে দুরে এবং প্রত্যন্ত গ্রামে যেসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ী তারা পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। বৃষ্টির কারণে যানবাহন স্বল্পতা এবং রাস্তার পানি জমে কাঁদা হওয়ার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।

উপজেলায় সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে উপজেলার বীরগঞ্জ-সি ৭৭১নম্বর কেন্দ্র ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থীদের।

ভারী বৃষ্টিতে কিছু কক্ষে পানি প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষায় একটি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে বলে জানান তারা।

এদিকে ঠাকুরগাঁও গ্রীড এলাকায় প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ এবং দলুয়া ৩৩কেজি ফিডার ট্রিপ করার কারণে সাময়িক ভাবে বিদ্যুত বিভ্রাটে দুঃখ প্রকাশ করেছে পল্লী বিদ্যুত সমিতি বীরগঞ্জ জোলান অফিস।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে শতগ্রাম ইউনিয়নের পুলহাট বাসিন্দা মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আমার ছেলে বীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পুর্ব মুহুর্তে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এ কারণে আসার পথে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

উপজেলার ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার শুরুর পুর্ব মুহুর্তে ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুত না থাকায় পরীক্ষা কক্ষগুলিতে আলো স্বল্পতা দেখা দেয়। আমরা নিজ উদ্যোগে তাৎক্ষণিক ভাবে পরীক্ষার্থীদের মোমবাতির ব্যবস্থা করে দেই। তবে আনুমানিক ২০-২৫মিনিট পরে বিদুৎত আসলে শিক্ষার্থীদের আর মোমবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয়নি।

পরীক্ষার কেন্দ্রগুলি নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে বীরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল গফুল জানান, শান্তিপুর্ণ ভাবে পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের কড়া নজরদারী ছিল। আমি নিজেও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেছি।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদের সরকারী মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। পরে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উপজেলায় ৯টি কেন্দ্রে ৫হাজার ১শত ৭৮জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে। 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth