রংপুরের ইজতেমায় জুমার নামাজে মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতি বছরের মতো এবারেও তিনদিন ব্যাপী মিনি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে রংপুর জেলার সদর উপজেলার শেষ প্রান্তে বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যাম্পুরে চিনিকল সংলগ্ন মাঠে। ইজতেমার ২য় দিন জুমার নামাজে অংশ নিয়েছে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ছিল ইজতেমার ২য় দিন। জুমার নামাজ দুপুর দুইটায় অনুষ্ঠিত হলেও সকাল ১০টা থেকেই ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের ঢল নামে। একসঙ্গে বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায়ে করে। রংপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সকালেই ইজতেমায় অংশ নেন তারা। এছাড়াও জুমার নামাজে রংপুরের প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত ও শান্তি কামনা করা হয়।
রংপুর শহর থেকে আসা মীর আনোয়ার আলী বলেন, ‘গত বছরও রংপুরের হাজিরহাটের ইজতেমায় জুমার নামাজ পড়েছি। এবারও লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে নামাজ আদায় করলাম। খুবই ভালো লাগছে। এটা আল্লাহর রহমত আর আমার সৌভাগ্য।’ এরকম অনুভূতি ও তৃপ্তির কথা জানান জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, সুযোগ পেলেই এরকম বড় জামাতে নামাজ আদায় করেন।
মিঠাপুকুরের সুবজ মোল্লা জানান, তিনি জুমার নামাজ আদায়ের জন্য সকালেই এসেছেন। নামাজ আদায় করতে পেরে ভালো লাগছে। পীরগাছা থেকে এসেছেন নওশাদ রাজু। তিনিও নামাজ আদায় করেছেন ইজতেমা মাঠে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত মিনি ইজতেমায় রংপুর বিভাগের আট জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ অংশ নিয়েছেন।
এদিকে, ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায়কে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পোশাকের বাইরেও সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রশাসনের পাশাপাশি ইজতেমা আয়োজকের পক্ষ থেকেও রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তারাও তৎপর রয়েছে, যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
শনিবার সকাল ১১টার পরেই আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। আর এরই মধ্যদিয়ে শেষ হবে রংপুরের তিনদিনব্যাপী মিনি ইজতেমা।