আইপিএল: কে কী পেল, কার ঝুলিতে গেল কত টাকা
স্পোর্টস ডেস্ক:
ধোনি-জাদেজা ম্যাজিকে মুম্বাইয়ের সমান পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছে চেন্নাই। রোমাঞ্চকর ফাইনালে ডিএল মেথর্ড পদ্ধতিতে গুজরাটকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৪ উইকেটে রেকর্ড ২১৪ রান করা সত্ত্বেও হার্দিক পান্ডিয়ারা জিততে পারেননি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে চেন্নাইয়ের লক্ষ্য ছিল ১৫ ওভারে ১৭১ রান। শেষ দুই বলে জাদেজার ছয়-চারে চূর্ণ হয়ে যায় গুজরাটের দ্বিতীয় শিরোপার আশা।
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্থের দিক থেকেও বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোর মধ্যে এগিয়ে আইপিএল। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারা বদলে দিচ্ছে বলেই মত অনেকের। অন্তত প্রাইজমানির দিক দিয়ে আইসিসির টুর্নামেন্টকে টক্কর দিচ্ছে আইপিএল। গত অক্টোবর-নভেম্বরে হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইপিএলের অর্থমূল্য (প্রাইজমানি) তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
১৬তম আসরে মোট ৪৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি অর্থ পুরস্কার দিয়েছে বিসিসিআই। টাকার অঙ্কে যেটি ৬০ কোটি ৩৭ লাখ। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির প্রাইজমানি ছিল ৫৬ লাখ ডলার, টাকার অঙ্কে যেটি ৬০ কোটি সাড়ে ৩ লাখ।
এবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, রানার্সআপ গুজরাট পেয়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্লে-অফে ওঠা বাকি দু’দলের জন্যও থাকছে প্রাইজমানি। তৃতীয় স্থানে থাকা মুম্বাই পেয়েছে ৯ কোটি ৭ লাখ। আর চতুর্থ স্থানে থাকা লখনৌ পেয়েছে ৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে একাই চার পুরস্কার পকেটে পুরেছেন রানার্সআপ গুজরাটের শুভমান গিল। ১৭ ম্যাচে ৫৯.৩৩ গড় ও ১৫৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৮৯০ রান করে হয়েছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ৮৫টি চার মেরেছেন এ ব্যাটার। এছাড়া আরও দুটি পুরস্কার উঠেছে তরুণ ওপেনারের হাতে। এই মৌসুমের ‘গেম চেঞ্জার’ এবং ‘সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারে’র পুরস্কারও তিনিই পেয়েছেন। চার ক্যাটাগরিতে সবমিলিয়ে শুভমান পেয়েছেন প্রায় ৫২ (৪০ লাখ রুপি) লাখ টাকা।
১৬তম আসরে ১৭ ম্যাচ খেলে ২৮টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হয়েছেন রানার্সআপ গুজরাটের পেসার মোহাম্মদ শামি। যার জন্য শামি পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
ইমার্জিং প্লেয়ার হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করা এই তরুণ ক্রিকেটার ইতোমধ্যে ভারতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দলে সুযোগ পেয়েছেন জয়সওয়াল। তিনিও পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
আইপিএলের সবচেয়ে ভাল স্ট্রাইকরেটের পুরস্কার পেয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গোটা প্রতিযোগিতায় তিনি ১৮৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন।
সবচেয়ে লম্বা ছয় মারার পুরস্কার পেয়েছেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তিনি ১১৫ মিটার লম্বা ছক্কা মেরেছিলেন। ম্যাক্সওয়েল-ডু প্লেসি দু’জনেই ১৩ লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন গুজরাটের আফগান লেগ-স্পিনার রশিদ খান। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তার নেয়া ক্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছে। যার কল্যাণে তিনিও পেয়েছেন ১৩ লাখ টাকা।
আইপিএলের ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এরপর সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কার পেয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ও মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।