ডোমারে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার গন্ডগোল থানায় অভিযোগ
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুকপুর এলাকায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার মধ্যে গন্ডগোলের অভিযোগে চাচা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এজাহার সুত্রে যানাযায় গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকায় শাহ মোঃ হামিদুল ইসলাম তার নিজ দখলীয় তফশিল ভূক্ত পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে আসছিল এমতাবস্থায় ঘটনার দিন বাড়ির কেয়ার টেকার স্বাধীন এবং বর্গাচাষি মোবারককে দিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে পাঠায়, এসময় তার আপন ভাতিজা ফারুকুজ্জামান তারিক (৪০) ফরহাদুজ্জামান(৩২) তুহিন শাহ (৪৫) সকলের পিতা মৃত তছলিম উদ্দিন এবং তিন ভাইয়ের স্ত্রীরাসহ তাদের আত্নীয় রফিকুল ইসলাম (৪৫) পিতা মৃত গাজিউর রহমান সাং ইটাখোলা, নীলফামারী সদর গং একত্রে দলবদ্ধ হইয়া হামিদুল ইসলামের পুকুরে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে কেয়ার টেকার স্বাধীন এবং বর্গাচাষি মোবারককে লাঠি, লোহার রড, দা, ছোরা ইত্যাদি অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এলো পাতাড়ি ভাবে তাদেরকে মারপিট করিয়া তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এসময় স্বাধীনকে তার স্ত্রী তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে তারা স্বাধীনের স্ত্রী বিউটি বেগমের চুলের মুঠি ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া তার পরনের কাপড় টানা হেচরা করিয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং বিউটির কানে পরিহিত স্বর্ণের দুল ছিনিয়া লইয়া যায়, এমতাবস্থায় বিউটির আত্নচিৎকারে এলাকার আনোয়ার হোসেন, মোবারক হোসেন, ওয়াহেদুল ইসলামসহ আরও অনেক লোকজন তাদেরকে বাঁচাতে গেলে ফারুকুজ্জামান তারিকের গংরাসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার মুহূর্তে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। বর্তমানে কেয়ার টেকার স্বাধীন এবং তার স্ত্রী বিউটি বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য সাইদার রহমান বলেন আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমার ব্যক্তিগত কাজে পাবনা গিয়েছিলাম। পাবনা থেকে এসে শুনলাম গন্ডগোল হয়েছে এবং বর্তমানে স্বাধীন এবং তার স্ত্রী বিউটি বেগম বোড়াগাড়ী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
গন্ডগোলের বিষয়ে ফরহাদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন নীলফামারী প্রেসক্লাবে আসেন এখানে কথা বলবো। আর আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেই যে আমি আপনাকে উত্তর দিব এ বিষয়ে আপনার কাছে আমি বাইন্ডিংস নয়।
এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মহসিন আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।