কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ধসে গেছে ধরলা সেতুর সংযোগ সড়ক: যানচলাচল বিঘ্নিত
![](https://amader-protidin.com/storage/postpic/1720697373.webp)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
টানা ১১ দিন ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত কুড়িগ্রামের সবগুলো চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল । জেলার প্রধান সব নদ-নদীর পানি পুনরায় গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বৃহস্পতিবার ধরলা,দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরলা নদীর তীরবর্তী ভোগডাঙ্গা ,পাঁছগাছি ও শুলকুর বাজার এলাকার বেশ কয়েকটি পাঁকা সড়ক ডুবে গেছে। এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে ধরলার পানির স্রোতে ধরলা সেতুর পূর্বদিকের ৩০ মিটারের সংযোগ সড়কের প্রস্তে ৫ ফিট এবং দৈর্ঘ্যে ১৫ মিটার অংশটি ধসে গেছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার নাগেশ্বরী,ফুলবাড়ি ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সাথে সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। দুপুরের পর জেলা সড়ক বিভাগ থেকে দ্রিত মেরামত করায় আংশিকভাবে ধীর গতিতে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবু মিয়া বলেন,’সকাল সাড়ে ৭টার দিক দোকান খুলতে এসে দেখি ব্রিজের সংযোগের মাথায় ধরলার পানিতে ভেঙে খাল হয়ে গেছে। এসময় ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলা বন্ধ ছিলো।’
ট্রাক চালক হযরত আলী বলেন,’সকাল পৌনে ১০টার দিক ব্রিজের এই মাথায় টোল দিয়া দাড়ায় ছিলাম। যাবো সোনাহাট বন্দর পাথর আনতে। ২ ঘন্টা দাড়ে থাকার পর ১২টার পরে গাড়ি ছাড়ছি।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন,’কুড়িগ্রামে সকাল থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে । সকালে ব্রিজের পানি দেখার জন্য যাই গিয়ে দেখি ব্রিজের পূর্বদিকটা ধসে গেছে। পরে সড়কবিভাগকে জানানোর পর দ্রুত মেরামতে কাজ শুরু করে।
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন,’ আমরা খবর পাওয়ার পর দ্রুত সেতুর পূর্বদিকে সড়কটির ধসে যাওয়া অংশ মেরামতে কাজ করছি। চওড়া ৫ ফিট ও লম্বায় ১৫ মিটার ধসে গেছে। আপাতত বালু ও খোয়া ফেলে ধীর গতিতে যান চলাচলের উপযোগী করে মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষার মৌসুম পার হলেই স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে।