পীরগাছায় মাদ্রাসার আসবাবপত্র চুরি: এক মাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ: বাদিকে হুমকির অভিযোগ
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছায় একটি মাদ্রাসার ফ্যান-ফ্রিজ, সিলিন্ডার, চুলাসহ আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত করেনি পুলিশ। উল্টো মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালককে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বার বার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের শুল্লিপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় গত ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত এক বছর আগে ওই মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক এবং জাহেদা খাতুন মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে যোগ দেন লালমনির হাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ধওগাই গ্রামের রবিউল ইসলাম। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাদ্রাসায় থাকতেন। এরই মাঝে গত ৩০ জুন শিক্ষক রবিউল ইসলাম স্থানীয় কয়েকজন কু-চক্রী ব্যক্তিকে নিয়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি জন্য বৈঠক করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষনিক তিনি ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু পরদিন ১ জুলাই ভোর রাতে স্থানীয় সোহাগ বাবু, শেখ কবির ও হাফেজ মামুন মিয়ার সহযোগিতায় শিক্ষক রবিউল ইসলাম মাদ্রাসার ৬টি ফ্যান, একটি ফ্রিজ, গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার ও মূল্যবান আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মো: নুরুন নবী মিঞাজী যোগাযোগ করেও মালামাল ফেরত পাননি। এ ঘটনায় তিনি গত ৫ জুলাই পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি থানা পুলিশ। ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত না হওয়ায় উল্টো পরিচালক মাওলানা মো: নুরুন নবী মিঞাজীকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন ওই শিক্ষক এবং তার সহযোগিরা। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মব সৃষ্টি করে হামলা হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং টাকা পান বলে জানান।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো: নুরুন নবী মিঞাজী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে আসার এক মাস পরও মামলা রেকর্ডভূক্ত করেনি। উল্টো বিবাদীগণ আমাকে জীবন নাশসহ মব সৃষ্টি করে মাদ্রাসায় হামলা হুমকি দিচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও পীরগাছা থানার এসআই নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য বলে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।