মিঠাপুকুরে প্রতীক বরাদ্দের পর জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
তাহাম্মেল হোসেন সবুজ, মিঠাপুকুর:
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর জমে উঠেছের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রির্টানিং কর্মকর্তা ও রংপুর জেলা প্রশাসক প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের নিকট প্রতীক বরাদ্দ করেন। মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান কামরু পেয়েছেন হেলিকপ্টার, মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা মোটর সাইকেল ও শাহ্ সাদমান ইসরাক পেয়েছেন আনারস প্রতীক। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হালিম মন্ডল উড়োজাহাজ ও নিরঞ্জন মহন্ত পেয়েছেন তালা প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার জেসমিন পেয়েছেন কলস ও দোলোয়ারা বেগম পেয়েছেন প্রজাপতি প্রতীক।
প্রতীক বরাদ্দের পর মিঠাপুকুরে শুরু হয়েছে প্রচারণা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথীদের পক্ষে শুরু হয়েছে মাইকিং। উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে ভোটারদের মধ্যে। নির্বাচন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটের মাঠে না থাকায় অনেক সমর্থক ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই। তারা ভোট কেন্দ্রেও যাবেননা বলে জানিয়েছেন। তারপরও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে মনে করছেন সাধারন ভোটাররা।
কাফ্রিখাল এলাকার সাধারন ভোটার মনিরা মুন্নি বলেন, ভোট একটি পবিত্র আমানত। দির্ঘ ৫ বছর পর পর আমরা ভোটাধীকার প্রয়োগের সুযোগ পাই। আমরা ভোট প্রদান করে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করব। আরেক ভোটার মকবুল হোসেন বলেন, আমরা ভোট কেন্দ্রে যাব ও ভোট দেব। এই ভোটে আমরা আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করব।
তবে, বিএনপি ও জামায়াতের অনেক কর্মীই ভোট কেন্দ্রে যাবেনা বলে জানিয়েছেন। তাদের একজন রুবেল সাদী। তিনি বলেন, সরকারের পাতানো নির্বাচন আমরা বয়কট করেছি। সরকারের সাজানো নির্বাচনে আমরা যাবো না। তবে ভোট কেন্দ্রে ভোটার যেতে পারবে, আমাদের কোন বাধা নেই।
সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে প্রচার-প্রচারণা চলছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি।