গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ৬ শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা

নির্মল রায়:
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে ৬ শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা, দোকানপাট, বিদ্যুতের খুটি ও ধানক্ষেত। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ঝড়টি আঘাত হেনেছে রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে।
নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ প্রচন্ড বেগে ঝড় বয়ে যায় ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার উপর দিয়ে। এ ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে ইউনিয়নের বাগডহরা, বৈরাতি, পূর্ব কচুয়া, পশ্চিম কচুয়া, নোহালী, চর নোহালীসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪৫০টি পরিবারের বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভেঙ্গে পড়ে বিপুল পরিমাণ ফলদ ও বনজ গাছ। মাটিতে নুয়ে পড়ে ধান ক্ষেত।
চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আরো জানান, অবিরাম বৃষ্টিপাতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছে। রান্নাঘর ও শুকনো জ্বালানির অভাবে তারা রান্না করতেও পারছেনা। ফলে পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যাভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। তাই জরুরীভাবে খাদ্য ও আবাসন সহায়তা প্রয়োজন।
আলমবিদিতর ইউপি সদস্য রেজাউল হক জানান, সকালবেলার ঝড়ে ইউনিয়নের
খামার মোহনা, কুতুব পাড়া, কুতুব গণেশসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে যায়। ঘর চাপা পড়ে এক কৃষকের দুইটি গরু মারা যায়। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম জানান, দুর্গত এলাকায় জরুরী খাদ্য সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, উপজেলার কিছু এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। জরুরী খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।