১১ কার্তিক, ১৪৩২ - ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ - 27 October, 2025

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নতুন সূচনা: শপথ নিলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা

8 hours ago
33


রাবি সংবাদদাতা:

দীর্ঘ ৩৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেছেন। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান। রাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় ১৭টি হলের প্রভোস্টরা নিজ নিজ হল সংসদের সদস্যদের শপথ করান।

দীর্ঘ বিরতির পর নির্বাচিত এই প্রতিনিধিরা আগামী এক বছর রাকসু, সিনেট ও হল সংসদের দায়িত্ব পালন করবেন।

শপথ অনুষ্ঠানে রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে আজ আমরা শপথ নিলাম। এর মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইতিহাসের সূচনা হলো। আমরা সকলের ইশতেহার একত্র করে তা বাস্তবায়নে পরিকল্পনা করবো—কত বাজেট লাগবে, কোন কাজ কখন শুরু হবে, সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দীন আম্মার বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাকে ভোট দিয়ে যে আস্থা রেখেছে, আমি তাদের কাছে ঋণী। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য—শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা। রাকসু ফান্ডের টাকার ব্যবহারের হিসাব আমরা প্রথম অধিবেশনেই প্রশাসনের কাছে জানতে চাইব এবং মেয়াদ শেষে নিজেদের ব্যয়ের পূর্ণ হিসাবও শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরব।”

সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস. এম. সালমান সাব্বির বলেন, “আমরা কিছু ইশতেহারকে সামনে রেখে কাজ শুরু করব। যেসব প্রতিশ্রুতি এক বছরে সম্ভব, তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর যা এক বছরে সম্ভব নয়, অন্ততপক্ষে সেগুলোর কাজ শুরু করে যাবো।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস পদে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দীন আম্মার, এবং এজিএস পদে এস. এম. সালমান সাব্বির। ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পায় ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth