সীমান্তে আরেক শহরের পতন বড় পরাজয়ের মুখে মিয়ানমারের জান্তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা। দেশটিতে সীমান্তবর্তী একটি শহরের পতন হতে চলেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের হাতে পতন হতে যাওয়া শহরটি মিয়ানমার—থাইল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিন বছর আগে মিয়ানমারের জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে। এরপর এ শহরটি পতনের মধ্যে দিয়ে আরও একবার বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। পতনের মুখে পড়া শহরটি থাইল্যান্ডের সঙ্গে দেশটির পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকা। কারেন বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে জান্তার সৈন্যদের শহরটি হাতছাড়া হয়েছে। অন্যান্য অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর মিত্র হিসেবে জাতিগত কারেন বিদ্রোহীরা জান্তার সঙ্গে লড়াই করে চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে কারেন বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াওয়াদ্দির নিরাপত্তায় নিয়োজিত শত শত সেনা আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।
মায়াওয়াদ্দি শহর দিয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের বেশিরভাগ স্থল বাণিজ্য হয়ে থাকে। শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে মায়াওয়াদ্দি শহরের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে থাঙ্গানিনাংয়ে অবস্থিত সেনা ব্যাটালিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে। তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কারেন বিদ্রোহীরা।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে তাদের সেনাদের হস্তহত হওয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
বিদ্রোহীদের কাছে শহরটির পতন জান্তার জন্য বড় পরাজয়। সা¤প্রতিক মাসগুলোতে শান রাজ্যের চীন সীমান্তবর্তী বিপুল এলাকা এবং আরাকান রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। চলমান সংঘাতে হাজারও সেনা এরই মধ্যে নিহত বা আত্মসমর্পণ করেছেন অথবা তারা বিরোধীর দলে যোগ দিয়েছেন। ফলে ঘাটতি পূরণে জান্তা প্রশাসন বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক সেবা সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।