তারাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট মাতৃকালীন ভাতার টাকা ফেরত চাওয়ায় মারধর

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
তারাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট মাতৃত্বকালিন ভাতার কার্ডের জন্য দেয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় রশিদুল নামের একজন বেধরক মারধর করেছ চেয়ারম্যান । চেয়ারম্যানে মারধরে গুরুত্বর আহত তার পরবিারের লোকজন চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ করেছেন রশিদুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সরকারপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম প্রায় দেড় বছর আগে গর্ভবতী হলে রশিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে সময় চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর মাতৃত্বভাতা করে দেয়ার জন্য আট হাজার টাকা বিভিন্ন খরচের জন্য দিতে হবে বলে জানান। চেয়ারম্যানের কথামত রিিশদুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে আট হাজার টাকা দেন। টাকা নেয়ার পরেও চেয়ারম্যান রশিদুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের মাতৃত্বকালিন ভাতার কার্ড করে দিতে না পারায় টাকা দেয়ার ৩ মাস পর চেয়ারম্যান রশিদুলকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিনও সেই টাকা ফেরত দিতে টানবাহানা করেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় রশিদুল ইসলাম সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে টাকা নেয়ার জন্য গেলে চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলত রশিদুল ইসলামকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বেধরকভাবে মারধর করেন। মারধরে রশিদুল অসুস্থ হলে তাৎক্ষকি চেয়ারম্যান স্থানীয় চিকিৎককে ডেকে এনে চিকিৎসা করে রশিদুলকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গুরত্বর অসুস্থ হলে রশিদুলের পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে রশিদুল ইসলাম হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের দুই নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রশিদুলের বড়ভাই দুলাল হোসেন জানান, হামরায় চেয়ারম্যান বানাইনো আর আমার ভাইক মারে। কার্ড করি দিবার না পাইস তা টাকা নিলু ক্যানে আর টাকা ফিরত চাইলে ধরি মারবু বা ক্যানে। অভিযুক্ত সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমাকে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে ঢুকে অকথ্য ভাষা কথা বলায় রশিদুলকে দুই তিনটা থাপ্পার দিয়েছি। এসময় সে অসুস্থ হলে স্থানীয় চিকিৎসক নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিলো। বুধবার বিকালে হাসপাতাকে তাকে দেখতে গিয়ে দুই হাজার টাকাও হাতে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) রুবেল রানা, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে একজনকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।