২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ - ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ - 12 December, 2024

নেতৃত্ব বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি পাকিস্তানের

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
87


ফাইল ফটো

আমাদের ডেস্কঃ

পাকিস্তান টেস্টে দুই যুগ ধরেই হোয়াইটওয়াশ হচ্ছে, তাই শান মাসুদদের আরেকবার সব ম্যাচ হারা নতুন কোনো চমক জাগায়নি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়ক বানিয়ে পাঠানো সে সিরিজে চরম ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান।

সে সিরিজের ফল দেখে আফ্রিদির অধিনায়কত্ব কেড়ে বাবর আজমের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে পাঠানো হয়। আরেকটি অস্ট্রেলিয়া সফর আসতে না আসতেই সাদা বলে বছরের তৃতীয় অধিনায়ক পেয়ে গেছে পাকিস্তান। কিন্তু অধিনায়ক বদলেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ২ উইকেটে হেরে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।

অস্ট্রেলিয়াকে কিন্তু বাগে পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ১৫৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের। মূল সব ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও একপ্রান্তে প্যাট কামিন্স রয়ে গিয়েছিলেন। এবং ব্যাট হাতে বরাবরই দলের বিপদে সেরাটা দিতে জানেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। ৩১ বলে ৩২ রানের ইনিংসে আজও হাসি নিয়ে ফিরেছেন এই ফাস্ট বোলার।

শেষদিকের এই নাটকীয়তা বাদ দিলে পাকিস্তানের আজকের হার নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের শুরু, উইকেট এখনো তাজা। মেলবোর্নে টস জিতে তাই ফিল্ডিং নিয়েছেন কামিন্স। তৃতীয় ওভারে দলকে তিন রানে রেখে সায়েম আইয়ুব আউট হয়ে যান। সব ব্যাটসম্যান যখন মেলবোর্নের উইকেটে কাবু, এর মাঝে শুধু বাবরকেই একটু স্বাচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল।

কিন্তু ১৮তম ওভারে ৪৪ বলে ৩৭ রান করা বাবর বোল্ড হন অ্যাডাম জাম্পাকে কাট করতে গিয়ে। পাকিস্তানের রান তখনো মাত্র ৬৩, দলের বাকিরা কত ধীর গতিতে রান করছিলেন, এতেই স্পষ্ট। নতুন অধিনায়ক কামরান গুলামকে নিয়ে একটু থিতু হওয়ার আশা করছিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই প্যাট কামিন্সের স্বপ্নের এক বাউন্সারে কাবু হয়ে ফিরে গেলেন গুলাম।

নতুন সহ অধিনায়ক সালমান আগা ফিরেছেন ২৭তম ওভারে। পাকিস্তানের রান তখন সবে একশ পেরিয়েছে। রিজওয়ানও (৪৪) ফিরে গেলেন দলকে ১১৭ রানে রেখে। ইরফান খান (২২) ও শাহিন শাহ আফ্রিদি (১৯ বলে ২৪) দলকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়ে যান। বাকিটা নাসিম শাহই করেছেন। এক চার ও চার ছক্কায় ৪০ রানে পাকিস্তানকে দুইশ পার করান নাসিম।

২০৪ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ভালো হয়নি। ম্যাথু শর্ট ও জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ৪ ওভারের মধ্যেই আউট। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও জশ ইংলিশ সে ধাক্কাকে পাত্তাই দেননি। দুজনে মাত্র ৭৫ বলেই ৮৫ রান তুলে ফেলেন। ১৭তম ওভারে স্মিথ যখন ৪৪ রানে আউট হচ্ছেন, তখনো বোঝা যায়নি কত বড় নাটক অপেক্ষা করছে। ২০তম ওভারে ৪৯ রানে ফেরেন ৪ চার ও ৩ ছক্কা মারা ইংলিশ। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১৩৯।

স্কোরবোর্ডে রানে কোনো পরিবর্তন আসার আগেই টানা দুই বলে মারনাস লাবুশেন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফিরে যান হারিস রউফের বলে। একটু পর অ্যারন হার্ডি যখন ফিরলেন, অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের বয়স মাত্র ২৫ ওভার, কিন্তু ৭ উইকেট পরে গেছে। বাকি ২৫ ওভারে ৪৯ রান নেওয়া হবে কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ জেগেছিল। কিন্তু কামিন্স প্রথমে শন অ্যাবটকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন। অ্যাবট রানআউট হলে স্টার্ককে নিয়ে বাকি রানটা তুলে ফেলেন ৪ ওভারের মধ্যেই। এর মধ্যেই বল করতে এসে চোটে পড়েছেন নাসিম। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth