আশা’র উদ্যোগে মাশরুম চাষ ও উৎপাদন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের আশা’র সদস্যদের নিয়ে মাশরুম চাষ ও উৎপাদন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বীরগঞ্জ উপজেলার বেইস মিতালী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা। এতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত আশা’র সদস্য মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তারা এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণে আশা-দিনাজপুর (বীরগঞ্জ) জেলার সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সবুজ রেমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর (কৃষি) কৃষিবিদ মো. খুরশীদ আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডল, আশা-বীরগঞ্জ সদর -১ এর সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুমন দাস, আশা-কুমিল্লা জেলার সিনিয়র এগ্রি অফিসার (মাশরুম) খাইরুল বাসার টিপু, আশা রংপুর বিভাগের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার (কৃষি) মো. শামসুদ্দিন এবং আশা বীরগঞ্জ সদর, দিনাজপুর জেলার রিজিওনাল ম্যানেজার পরেশ চন্দ্র বর্মন।
এছাড়াও প্রশিক্ষণে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ‘আদর্শ মান্না মাসরুমি’র স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী শিপু। তিনি অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন এবং মাশরুম চাষের বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা প্রদান করেন।
আয়োজকরা জানান, নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা, সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং মাশরুমের বাজার সম্প্রসারণই আমাদের মূল লক্ষ্য।
পাশাপাশি মাশরুম চাষী ও উদ্যোক্তাদের সরাসরি ফার্ম ভিজিট করে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান, মানসম্মত বাণিজ্যিক স্পন সরবরাহ, টিস্যু ও মাদার তৈরিতে সহযোগিতা, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা এবং উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে আশা। এর ফলে অনেক উদ্যোক্তা ইতিমধ্যেই মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন এবং নতুন করে অনেকেই এ খাতে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা বলেন, মাশরুম চাষের মাধ্যমে স্বল্প মূলধনে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাছাড়া এটি দেশের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা’র সার্বিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনায় উদ্যোক্তারা সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনেকেই।