উলিপুরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সংলাপ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
‘স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাঃ জনপ্রতিনিধিদের অঙ্গীকারথ এই প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় উলিপুর বণিক সমিতি হলরুমে ইএসডিও ও হেলভেটাসের সহযোগিতায় উপজেলা জলবায়ু পরিষদ আয়োজনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ উপস্থিত থেকে আগত ভুক্তভোগীদের কথা শুনেন এবং ১৫ দফা দাবী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন।
হেলভোটাস সুইস ইন্টার কোঅপারেশনের আয়াতুল্লাহ আল মামুন ও ইএসডিওথর প্রজেক্ট ম্যানেজার গোলাম ফারুক জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানের মূল কনসেপ্ট স্পিচে রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে এলাকার জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার তুলে ধরার আহবান জানান।
উপজেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক মেয়র, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হায়দার আলী মিঞা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মুছা মিয়া, এনসিপিথর যুগ্ম সমন্বয়ক সাখাওয়াত হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি মাও. মো. আতাউর রহমান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের উপজেলা আহবায়ক সাইদ আখতার আমীন, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির উপজেলা সভাপতি ফেরদৌস কবীর, যুব অধিকার পরিষদের (গণ অধিকার পরিষদ) উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।
সংলাপে কমিউনিটির ভুক্তভোগীগণ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত ও তীব্র বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ঘূর্ণিঝরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নদী উপচে বন্যার সৃষ্টি যা কৃষি, খাদ্য, পানীয় জল, এবং জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে এবং মানুষকে গৃহহীন ও স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করছে। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ এবং ১৬ নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত কুড়িগ্রামে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মারাত্মক ভাবে।
সমস্যা সমূহের মধ্যে উপজেলার সকল বাঁধ রক্ষা ও মেরামত, নীরিক্ষার মাধ্যমে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাঁধ নির্মাণ, চরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমান সোলার পাওয়ার ইরিগেশন, বর্জ্রপাতে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত না হতে মাঠে কৃষক আশ্রয়ঘর তৈরি ও বজ্রনিরোধক টাওয়ার স্থাপন, খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি স্থাপনসহ ১৫টি দাবী তুলে ধরেন।